আদনান হত্যার রহস্য | একটি রহস্যময় গোয়েন্দা গল্প | Sabbir Hossain Rubel.
সূর্য্য আজকে বেশ আলো ছড়িয়ে উঠেছে। অনেক বেলা হলেও সোহাগ এখনো গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। কারণ সে গতকাল রাতে একটু দেরি করে ঘুমিয়েছিল। সকালে ঘুম ভাঙলো আদনানের মায়ের করূণ কন্ঠে। হন্তদন্ত হয়ে আদনানের মা সোহাগের কাছে এসে বলল, " বাজান আদনান কোথায়?" ঘুম ঘুম চোখে অবাক হয়ে সোহাগ জিজ্ঞেস করল মানে? আদনান কোথায়? বাড়িতে যাই নাই রাতে?
সোহাগের মা তখন বলল যে রাতে খাওয়ার পরে বাইরে গেছিলো বলল যে আসি তারপরে আমি ঘুমায়া গেছিলাম। সকালে উঠে দেখি আদনান রুমে আসে নাই। ফোন দিলাম ফোন অফ বলছে। তাই তোমার কাছে আসলাম আমি, যে তুমি জানো নাকি। সোহাগ বলল যে আমি তো কিছু জানিনা না খালাম্মা। আপনি বাড়িতে যান আমি খুজে দেখছি। টেনশন করবেন না।
গত রাতে যা ঘটেছিল?
সোহাগ বিছানায় হতাশ হয়ে বসে ভাবছে কাল রাতে কি হয়েছিল। রাতে খাওয়ার পরে দুজনে বাজারে গিয়েছিল। বাজার থেকে সোহাগ বলল যে আদনান তুই থাক আমি একটু আসতেছি। ৫ মিনিট পরে সোহাগ ফিরে আসল আদনানের কাছে। দূর থেকে দেখল কার সাথে যেন আদনান তর্ক করছে। ঠিক ভালো ভাবে চিনল না। কাছে আসার আগেই লোকটা চলে গেল। আদনানের কাছে আসতেই আদনান বলল যে চল বাড়িতে যাবো।
জিজ্ঞেস করল সোহাগ যে কি হলো? আদনান বলল যে কিছুনা চল। তারপরে সোহাগ আর আদনান রওনা দিল বাড়ির পথে। আঁকাবাকা মেঠো পথে হাটছে দুজন। আদনান সোহাগ কে বলল জানিস দোস্ত আমি না সাথীকে অনেক ভালোবাসি। সাথীও আমাকে অনেক ভালোবাসে। কিন্তু আমি জানি এটা কখনো আমাদের সমাজ মেনে নিবে না।
কারণ সাথী হলো চেয়ারম্যান এর মেয়ে। আর আদনান মধ্যবিত্ত ঘরের এক সন্তান। উজানপুরের এলাকা বেশ বড়সড় বটে। আর সাথীর বাবা কাদের মুন্সী এই উজানপুর ইউনিয়নে গত ৪ বার ধরে চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত রয়েছে। তবে তার এই নির্বাচিত হওয়ার গল্পটা সবারই জানা। লাঠির জোর আর টাকার ক্ষমতা থাকলে এই দুনিয়ায় সব কিছুই সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ Free Fire and PUBG Mobile Game | একটি জাতি ধ্বংসের মূল পরিকল্পনাকারী
এই সব গল্প করতে করতে সোহাগ আর আদনান অনেকটা পথ চলে এসেছে। এখন দুইজন দুই দিকে যাওয়ার পালা। তারপরে সোহাগ বলল যে এখন তাহলে এসব চিন্তা বাদ দে। বাড়ি যেয়ে আরামে ঘুমা। তারপরে আদনান বলল যে হ্যা তুই ও যা। আর হ্যা কাল কিন্তু কলেজে চলে আসিস। তারপরে দুজন বিদায় জানিয়ে দুপথে চলে গেল। আদনান যে রাস্তা দিয়ে যাবে সে রাস্তাটা একটু ভূতুরে ধরণের। আঁকাবাঁকা জঙ্গল ধরণের রাস্তা। আর তার সামনে একটা আখের মাঠ। এদিকে সোহাগ বাড়ি এসে আর কিছু না ভেবে শুয়ে পড়ল।
গতরাতের এসব কাহিনি ভাবতে ভাবতে সোহাগের মাথা যেন আর কাজ করছে না। ভাবছে যে আদনান তাহলে কোথায় গেলো। কাল রাতে কে-ই বা আদনানের সাথে তর্ক করছিল?
সোহাগ এখন কি করবে?
এসব ভাবতে ভাবতে সোহাগ ভাবল যাই আগে খুজে আসি আশেপাশে। তারপরে ভাবা যাবে। তাড়াহুড়ো করে হাত মুখ ধুয়ে সোহাগ চলে গেল কলেজের উপর। পরিচিতি সব বন্ধুদের কাছে জিজ্ঞেস করেও আদনানের কোন হদিস মিলল না। সোহাগ বেশ চিন্তিত হয়ে গেল। ভাবল আদনান যে পথ দিয়ে বাড়িতে যায় সেই পথে খুজতে খুজতে যাই। যেই ভাবা সেই কাজ। সে রওনা দিল নিরিবিলি সেই জঙ্গল ধরণের রাস্তায়। ঘন গাছ পালায় ঘেরা সে পথ। পথ শেষ হতেই আখের মাঠ। বিশাল এলাকা জুড়ে বৃস্তত সে আখের মাঠ। আখ এখন বেশ বড়। যেন দুই মানুষের সমান উচ্চতা।
সেই পথ দিয়ে কিছু পথ অগ্রসর হতেই সোহাগের মনে হলো ডানের এক ঝোপ আখ ভাঙা। কৌতুহলী হয়ে সে সামনে আগাতেই কিছু রক্তের দাগ দেখতে পেল। রক্তের ছাপ দেখে সোহাগের মনের মধ্যে ছ্যাত করে উঠল। তারপরে সামনে তাকাতেই এমন একটা বীভৎস দৃশ্য দেখবে সেটা সোহাগ কখনো কল্পনাতেও ভাবে নেই। সামনে আগাতেই সোহাগ দেখতে পেল আদনানের নিথর দেহ চিত হয়ে পড়ে আছে।
এরকম বিব্বৎস একটা দৃশ্য দেখে সোহাগ সাথে সাথেই দৌড় দেবে সেখান থেকে কিন্তু সে দৌড় দিতে ব্যর্থ হল। মাথা ঘুরে সাথে সাথেই পড়ে গেল অজ্ঞান হয়ে। পরে যখন জ্ঞান ফিরলো তখন দেখল তার গ্রামের প্রায় সব মানুষ সেই আখের মাঠে জমা হয়েছে।
ইতিমধ্যে সব মানুষের মধ্যে রটে গেছে আদনানের হত্যার খবর। সোহাগের জ্ঞান ফিরতেই দেখলো সবাই তার মাথায় পানি ঢালছে। আদনানের এমন বিভৎস দৃশ্য দেখে সোহাগ অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল।
তারপরেই সোহাগ স্বাভাবিক হতেই তার আর বুঝতে বাকি রইল না যে আদনানকে কেউ হত্যা করেছে। কিন্তু কে করলো এমন নির্মম আচরণ আদনানের সাথে? সোহাগ যেন কোন কিছুতেই হিসাব মেলাতে পারছে না। যেন মাথা ঘুরছে আবার পড়ে যাবে এরকম অবস্থা।
আদনানের হত্যার রহস্য উন্মোচনের জন্য পুলিশের আগমন
আরো পড়ুনঃ সমাজের মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ | আল্লাহ যদি সবাই কে সমান বানাতো তাহলে কি হত?
চারিদিকে গুঞ্জন রটিয়ে যাওয়ার পরে পুলিশ আসতে বেশি সময় নিল না। এক গাড়ি ভর্তি পুলিশ চলে আসলো আদনানের বাড়িতে। পরে আখের মাঠ থেকে আদনানের লাশ সংগ্রহ করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দিল। এদিকে পুলিশ পরিচিত মানুষদের কে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সেই সুবাদে সর্বপ্রথম সোহাগের সাথেই পুলিশের প্রথম কথা হলো। কারণ মৃত্যুর আগে আদনান সোহাগের সাথে ছিল। পুলিশের সন্দেহ সবার দিকে। তাই তারা সোহাগ কেউ এ সন্দেহের তালিকায় শীর্ষে রাখলো।
পুলিশ সোহাগ ও আদনানের পরিবারের সাথে কথা বলে বুঝতে পারল সোহাগ তার প্রিয় বন্ধু ছিল। তাই পুলিশ সোহাগের নাম সন্দেহের তালিকায় থেকে সরিয়ে কিভাবে সোহাগের কাছ থেকে আরও তথ্য নেওয়া যায় সে ব্যাপারে মনোনিবেশ করল। পুলিশ আরো সবার পরিচিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে লাগলো।
কেউ কিছু জানে কিনা। তবে প্রাথমিকভাবে তেমন কোন কিছু জানা গেল না । গ্রামে একটা চাপা নিস্তব্ধতা বিরাজ করে আছে। এরই মধ্যে পুলিশের উপস্থিতিতে আদনানের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট চলে এসেছে। সেই সাথে আদনানের লাশ নিয়ে হাজির হলো আদনানের বাড়িতেই।
আদনানের জানাজা।
পোষ্টমর্টেম ও যাবতীয় ঝামেলা নিষ্পন্ন করে এবার সময় হলো আদনানের জানাজার। তরতাজা একটা প্রাণ এভাবে হত্যার জন্য মানুষের আগ্রহের যেন কমতি নেই। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এসেছে আদনানের জানাজায় অংশগ্রহণ করার জন্য। এত লোক একটা জানাজায় এর আগে যেন উজানপুরের মানুষ আর দেখেনি। মসজিদের ইমাম সাহেব রহমত মিয়া সবার উদ্দেশ্যে বয়ান দিতে শুরু করলো।
আদনানকে একটা নজর দেখার জন্য ঈদগাহেও মানুষের যেন হুমড়ি পরে লেগে আছে। অবশেষে সব কাজ সম্পূর্ণ করে জানাযা সম্পন্ন হল। জানাজা শেষে সবাই এক এক করে সবার বাড়িতে চলে যেতে লাগলো।
আদনানের বাবা যেন কবর ছেড়ে যেতে চাইছে না। এত
কষ্ট করে ছেলেকে বড় করেছে এত সহজে কি সেই ছেলের শোক ভোলা যায়। কিন্তু
বাস্তবতা যে অনেক ভয়ঙ্কর একটা বিষয়। এটাকে মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোন
উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়ে আদনানের বাবাকেও বাড়িতে চলে আসতে হলো।
বিষন্ন সোহাগ কি ভাবছে
এদিকে সোহাগ আদনানের মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। সোহাগ যেন বিশ্বাসই করতে পারছে না যে আদনান আর আমাদের মাঝে নেই। সোহাগ মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলো যেভাবেই হোক আদনানের খুনিকে বের করে তাকে কঠিন শাস্তি দেব । এই ভেবে সে চলে গেল কলেজে। তারপরে তার আরেক কাছের সহপাঠী যার নাম শিমুল। শিমুলের কাছে সোহাগ বলল যেভাবেই হোক আদনানের খুনিকে খুঁজে বের করতে হবে।
তারপরে সোহাগের মনে হতে লাগলো যে হত্যার রাতে আদনানের সাথে দোকানে কে তর্ক করেছিল ? তাকে খুঁজে বের করতে বিষন্ন হয়ে পড়ল সোহাগ। ভাবল যেভাবেই হোক তাকে আগে খুঁজে বের করতে হবে।
পুলিশি অভিযান
এদিকে পুলিশ চুল ছেড়া বিশ্লেষণ করেও কাউকে সন্দেহের তালিকায় শীর্ষ জায়গা দিতে পারছে না। কে আসলে এই খুনের জন্য দায়ী তা এখনো কেউ পরিষ্কারভাবে বলতে পারছে না। পুলিশ সন্দেহবাজন বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোন লাভ হলো না।
অবশেষে পুলিশের মনে হলো যে এতে গোয়েন্দা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। যেভাবেই হোক আদনানের খুনিকে খুঁজে বের করতে হবে।তাই পুলিশ গোয়েন্দা নামিয়ে দিল আদনানের খুনিকে ধরার জন্য। পুলিশ বিভিন্ন রূপ ধারণ করে খুঁজতে লাগলো আদনানের খুনি কে সেটা জানার জন্য।
বাজারে কে তর্ক করেছিল আদনানের সাথে
সোহাগ সেদিন রাতের ঘটনা নিয়ে খুবই বিস্মিত। আদনানের সাথে আসলে কে ওভাবে ঝামেলা করছিল। সেটা জানার জন্য সোহাগের মন ছটফট করছিল। অবশেষে সোহাগের মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো। সোহাগ আর কিছু না ভেবেই চলে গেল সেদিনের সেই দোকানটাতে। জব্বারের চায়ের দোকান। এসেই সরাসরি সোহাগ জব্বার কে জিজ্ঞেস করল আচ্ছা কাকা সেদিন রাতে আদনান কার সাথে ঝগড়া করছিল।
কিন্তু প্রশ্ন করতেই জব্বার আমতা আমতা করা শুরু করল। জব্বার বলল যে আমি দেখি নাই। কিন্তু সোহাগ নিশ্চিতভাবে বলতে পারে যে জব্বার এটা দেখেছে । কারণ এটা জব্বারের দোকানের সামনেই। আর জব্বার সে সময় দোকানেই ছিল। জব্বার না দেখে যাবে কোথায়।
কিন্তু জব্বার ছাড়াও সেদিন এখানে আরো অনেকেই উপস্থিত ছিল। তাই সোহাগ ভাবলো যে আর কার কাছ থেকে এই তথ্যটা জানা যায়। বিষন্ন হয়ে যখন এসব কিছু ভাবছে । ঠিক তখনই সোহাগের কাঁধে কেউ একজন হাত রাখল। মাথা ঘুরে তাকাতেই সোহাগ দেখল তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে তার এলাকার রহিম চাচা। সোহাগ বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করল যে চাচা আপনি এই অসময়? রহিম চাচা সোহাগকে যে তথ্যটা দিল সেটা শোনার পরে সোহাগের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল।
আসলে সেদিন আদনানের সাথে রাতে যে ঝগড়া করেছিল সে হচ্ছে চেয়ারম্যানের ছেলে। চেয়ারম্যানের ছেলের নাম সাইফুল। এলাকায় যত ধরনের অপকর্ম রয়েছে তার মাথা যেন এই সাইফুল।
তখন সোহাগের আর কিছু বুঝতে বাকি রইল না যে ঘটনাটা আসলে কি। কিন্তু এভাবে
হুট করে তো কোন কিছু করা যাবে না। সব কিছুর জন্যই প্রমাণ লাগবে। তাই সোহাগ
ভাবলো সে একা কিছু করতে পারবে না। তাকে এ ব্যাপারে পুলিশের সহায়তা নিতে
হবে।
সোহাগ আর পুলিশ একসাথে।
সবকিছু ক্লিয়ার হয়ে সোহাগ চলে গেল সরাসরি পুলিশের কাছে। যে সবকিছু পুলিশের কাছে ভেঙে বলল। তারপরে পুলিশ চলে গেল চেয়ারম্যানের বাড়ি সাথীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। কিন্তু সাথী অস্বীকার করল। যে আদনানের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। সাথীর বাবা বলল। দেখুন সাহেব আমরা সম্ভ্রান্ত পরিবারের লোক। আমাদের নামে খামাখা এসব দুর্নাম ছড়াবেন না। যেটা আপনি বলেছেন সেটা আপনার মুখের মধ্যেই রাখুন বেশি বাড়াবাড়ি করলে ফলটা কিন্তু ভালো হবে না ।
কিন্তু ইন্সপেক্টর শফিকুল খুবই সৎ আর সাহসী একজন পুলিশ। সে দক্ষ ভাবে বিষয়টা মোকাবেলা করবে সেটাই মনে হল। তাই সে কিছু না বলে সেখান থেকে চলে আসলো। তবে হ্যাঁ সাইফুল কে বাড়িতে দেখা যায়নি। এটা ভেবে পুলিশের সন্দেহ হলো যে সাইফুল আসলেও এর সাথে জড়িত। চেয়ারম্যান সাহেবকে ইন্সপেক্টর শফিকুল বলে আসলো যে আপনার ছেলে বাড়িতে আসলে অবশ্যই থানায় গিয়ে দেখা করতে বলবেন।
কিন্তু সাইফুলের মনে কাদা আছে। তাই সে থানায় দেখা করল না। এতে করে পুলিশের সন্দেহ আরো গভীর হলো। তাই তারা গোয়েন্দা ব্যবস্থাটাকে আরো শক্তপোক্তভাবে লাগাতে বলল। অবশেষে সাত দিন টানা অপারেশনের পর পাশের গ্রাম থেকে সাইফুলের খালা বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হলো সাইফুলকে। গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হলো থানায়। সাইফুল বলল আমি নির্দোষ আমাকেই গ্রেফতার করার শাস্তি কি হতে পারে তুমি জানো?
সাইফুল এখন পুলিশ হেফাজতে
এদিকে জানাজানি হয়ে গেছে যে পুলিশ সাইফুলকে ধরে নিয়ে গেছে । চারবারের চেয়ারম্যান এটা শুনে কি আর ঠিক থাকে। সে তার ছেলেকে রক্ষা করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু চৌকসী ইন্সপেক্টর শফিকুল তার আগেই আদালত থেকে শফিকের জন্য রিমান্ড মঞ্জুর করে নিয়েছে।
রিমান্ডে নেওয়ার পরে সাইফুলকে প্রথমে খুবই সুন্দরভাবে জিজ্ঞাসা করা হলো কিন্তু সাইফুল ভুল তো আরো পুলিশকে হুমকি দিতে লাগলো। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় ইন্সপেক্টর শফিকুলের। এমন এক চড় মারলো সাইফুলের কান দিয়ে রক্ত বের হয়ে পড়ল। এতেও কাজ না হলে ইন্সপেক্টর শফিকুল একটা প্লাস নিয়ে এসে সাইফুলের একটা নখ উপরে ফেলল।
সাইফুল তখন অসহ্য যন্ত্রণায় গড়গড় করে কথা বের করে দিতে লাগলো। বলল যে
হ্যাঁ আমি সবকিছু করেছি। আদনান কে খুন আমিই করেছি। ওর কত বড় সাহস ও আমার
বোনের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে। ইন্সপেক্টর শফিকুল বলল কিন্তু আপনার বোনতো
বলল যে এসব মিথ্যা । সাইফুল তখন বলল বাবা সাথীকে স্বীকার করতে নিষেধ
করেছে। তাই সাথী ভয়ে কোন কিছু স্বীকার করেনি। তারপরে একের পর এক সব কিছু
বলে দিতে লাগলো।
কিভাবে হত্যা করা হয়েছিল আপনাকে।
গামছা দিয়ে মুখ পেচিয়ে ধরে পেটের মধ্যে ছুরি চালাতে থাকে। একসময় এভাবে আদনানের দেহ অবশ হয়ে আসে। যখন দেখল আদনান মরে গেছে তখন আদনানকে একটু দূরে সরিয়ে আখের মধ্যে ফেলে আসে। তারপরে তাড়াহুড়া করে সবাই সেখান থেকে আমরা চলে আসি। এমনই বেদনাদায়ক বর্ণনা দেয় সাইফুল।
লেখকের কথাঃ
আমি Sabbir Hossain Rubel. আর এই গল্পটা আমার নিজেরই লেখা। গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। আর সেই সাথে এখানের প্রতিটা ওয়ার্ড আমার নিচের হাতে লেখা। তাই কেউ যদি কপি করেন তাহলে অবশ্যই তার জন্য ক্রেডিট দিতে হবে। ক্রেডিট ছাড়া আমার ওয়েব সাইট থেকে যে কোন লেখা ও ছবি ব্যবহার করা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আমি
তেমন ভালো লিখতে পারি না। তাই যদি কোন ভুল ত্রুটি হয় তাহলে অবশ্যই সেটা
ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল। সেই সাথে সেটা সংশোধনের উপায় বলে
দিলেও খুশি হব। ধন্যবাদ সবাই কে আমার লেখা গল্প পড়ার জন্য। আমার সাথে
যোগাযোগ করতে চাইলে ফেসবুকে এসএমএস দিতে পারেন।
Post a Comment
image video quote pre code