Free Fire and PUBG Mobile Game | একটি জাতি ধ্বংসের মূল পরিকল্পনাকারী
অত্যন্ত দুঃখ জনক হলেও সত্য যে PUBG আর Free Fire নামক এসব মোবাইল গেম আমাদের প্রজন্মকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে। Free Fire and PUBG Mobile Game | একটি জাতি ধ্বংসের মূল পরিকল্পনাকারী । বর্তমান প্রজন্মের সিংহভাগ ছেলে মেয়ে দিন রাত পরে আছে মোবাইল গেম নিয়ে। আমাদের প্রজন্মে কি দেখতাম? এমনটা কি আমরা দেখেছি?
আগের যুগের আমরা দেখতে পেতাম সন্ধ্যা হলেই সবাই বই নিয়ে বসে পড়ত। প্রত্যেক বাড়ি থেকে ভেসে আসত গুন গুন করে পড়ার কলরব। কিন্তু আফসোস আমরা এখন আর সেই গুনগুনানো মধুর শব্দ শুনতে পারি না।
Read More: সমাজের মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ | আল্লাহ যদি সবাই কে সমান বানাতো তাহলে কি হত?
এখন সন্ধ্যা হলেই ভেসে আসে মার! মার! শব্দ। প্রতিটা গলি, দোকানের ব্রেঞ্চ, বড় গাছের গোড়া, বাড়ির সামনে, এমন কি প্রতিটা ঘরে চলছে এসব মার মার চিল্লানি।
ফ্রি ফায়ার আর পাব্জির লাগামহীনতার জন্য কে দায়ী?
আমরা খুব সহজে এটার উত্তর দিতে পারব না। আসলে কে দায়ী এই লাগামহীনতার জন্য। যে ছেলেটা ফ্রি ফায়ার খেলছে সে অনেক কারণে সেই গেমটা খেলতে পারে।
- কেউ নেশায় পরে খেলছে।
- কেই শখের বসে খেলছে।
- কেউ সময় কাটানোর জন্য খেলছে।
- কেউ নিজের সম্মান বৃদ্ধির জন্য খেলছে।
- কেউ নিজেকে প্রমোট করার ধান্দায় খেলছে।
- কেউ বা অন্য কোন কারণে।
তবে যে, যে কারণেই খেলুক না কেন একটা সময়ে যে সেটা নেশায় পরিণত হয়ে যাচ্ছে।
সে নিজে চাইলেও এসব বাদ দিতে পারছে না। বাপ মা সব সময়ই তো বলে যে গেম খেলিস না! গেম খেলিস না! কিন্তু কে শোনে কার কথা। আর এখন কার যে প্রজন্ম তারা বাপ মার কথা শুনবে? তারা বাপ মাকে উলটে ঝারি মেরে বসে থাকে। রাষ্ট্রীয় ভাবে বেশ কয়েক বার এই সব মোবাইল গেম ব্যান করা হয়েছে। কিন্তু তাতে লাভ হয় নাই। কারণ এখন সবাই উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন। বিভিন্ন ভিপিএন ব্যবহার করে সেই ফায়ারওয়াল টপকিয়ে ঠিকই গেমে ঢুকে পরছে ছেলে পেলে।
তাহলে আমরা কাকে দায়ী করতে পারি এই কারণে?
আসলে এর জন্য দায়ী হলো আমাদের সচেতনার অভাব। আমরা একক ভাবে যেমন কাউকে দায়ী করতে পারি না ঠিক তেমন ভাবে কাউকে এই দায়ী থেকে মুক্তিও দিতে পারি না। আমাদের সবারই যথেষ্ট সচেতনতার অভাব রয়েছে। যে গেম খেলছে সে থেকে শুরু করে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সবাই এই অসচেতনতার জন্য দায়ী।
এ থেকে বাচার উপায় কি? - What is the way to avoid this?
সত্যি বলতে এ থেকে বাচা অনেক বেশি কষ্টের। কারণ এটা এক দিনে যেমন আমাদের গ্রাস করে নেই তেমনি এক দিনে আমরা এর থেকে বাঁচতেও পারব না। এ থেকে বাচার একটাই উপায় সেটা হলো প্রচুর সচেতনা আর সেল্ফ কন্ট্রোল। আমি ততক্ষণ এটা থেকে বিরত হতে পারব না যতক্ষণ না আমি নিজে চেষ্টা করব।
তোমরা যারা এই ফ্রি ফায়ার পাব্জি খেলো তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলি। আচ্ছা তোমরা এসব গেম খেলে কি পাও? সাময়িক মজা? আনন্দ নাকি ফ্রেম? আমি ধরে নিলাম তুমি এর সব গুলাই পাও। কিন্তু সেটা সাময়িক তাইনা? তোমাকে কি এটা স্থায়ী ভাবে আনন্দ দিতে পারে? কখনো না। কিছুক্ষণ পরেই তোমাকে আবার ডিপ্রেশন পূনরায় গ্রাস করে৷ তাহলে তুমি কোন সুখে তোমার মহামূল্যবান সময় টাকে এভাবে হেলায় নষ্ট করছ?
হায় আফসোস। তোমরা হয়ত বলতে পারো যে আমি তো অবসর সময়ে খেলি। কিন্তু তুমি দেখো তোমার পুরো জীবনটাই কেমন যে অবসরময় হয়ে গেছে। কারণ তুমি তো কাজ করো না। কিভাবে তূমি ব্যস্ত হতে পারবে? তুমি কোটি কোটি টাকা দিয়েও ফেলে আসা একটা সেকেন্ড ফিরে পাবে না। কখনোই না।
বাবা-মায়েদেরকে বলব যে আপনার সন্তান কি করে কোথায় যান একটু খেয়াল করেন। মোবাইলে কতটুকু সময় ব্যয় করছে তার হিসাব রাখুন। তাকে বুঝান। মোবাইল ব্যবহারে তাকে মিতব্যয়ী হতে বলেন। স্বয়ং মোবাইলের আবিষ্কারক ও মোবাইলে ব্যবহার এর ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য ঘোষণা দিয়েছেন। সুতরাং বুঝতেই পারছেন মোবাইলের ব্যবহার কেমন হওয়া উচিত।
ফ্রি ফায়ার আর পাব্জির ভয়ংকর কিছু উদাহরণ
শুধু কি নেশা এই মোবাইল গেমে? নাকি নেশার চেয়ে বেশি কিছু? আমরা এই ভয়ংকর গেম এর নেশায় পরে মৃত্যু পর্যন্ত হতে দেখেছি। ছোট বাচ্ছা গেম খেলার জন্য টাকা চেয়েছে। বাবা সেই টাকা দেয় নাই। যার কারণে ছোট বাচ্ছা ফাঁসি নিয়ে নিজের জীবন বিষর্জন দিয়ে দিল। এ রকম আরো অনেক অনেক উদাহরণ দেখতে পারি। যার প্রেক্ষিতে আমরা নিতান্তই বলতে পারি এটা একটা প্রাণ নাশক গেম। আমরা ব্লু হোয়েল গেমের নাম শুনেছি। যেটার শেষ পরিনতি নাকি হত মৃত্যু। তবে আমরাও এই সব গেমকে নিরব ঘাতক বলতে পারি। যা আমাদের জাতি কে তিলে তিলে শেষ করছে।
ছেলে পেলে এখন আর সন্ধ্যার পরে বই নিয়ে বসে না সেটা আগেই বলেছি। তবে এখন আর পরীক্ষার আগেও ছেলে মেয়েরে খুব একটা পড়তে দেখা যায় না। পরীক্ষা আসলে ছাত্রছাত্রীরা আর দল বেধে পাল্লা করে গাইড বই পড়ার চলন ও দেখা যায় না।
সতর্কতা - Warning
তুমি তোমার জীবন কোন পথে চালাবে সেটা সম্পূর্ণ তোমার নিজের হাতে। মূল্যবান এই সময় তুমি হাজার চেষ্টা করেও ফিরিয়ে আনতে পারবে না। সুতরাং তোমাকে আগে থেকেই সচেতন হতে হবে যে তুমি তোমার সময় কোন কাজে ব্যয় করবে। সঠিক সময়ে সঠিক কাজটা না করলে তোমাকে পস্তাতে হবে সেটা আর অবাক কি?
Message From Writer.
I am Sabbir Hossain Rubel. This is written from my own experience. Every word, idea, writing here is written by my own hand. Therefore, if the angle is wrong, then of course, please kindly look at the apology. The purpose of my writing is to convey an awareness message to the present generation. Thanks everyone for reading the article carefully.
Post a Comment
image video quote pre code